মহামারীর সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই নতুন রপ্তানি নীতিতে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে দেশের রপ্তানি আয়কে আট হাজার কোটি বা ৮০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলছেন, বিশ্ব বাণিজ্যের প্রেক্ষাপট এবং দেশীয় সক্ষমতা বিবেচনা করেই নতুন এই লক্ষ্য ঠিক করেছেন তারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

সর্বশেষ রপ্তানি নীতিমালায় এ লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬০ বিলিয়ন ডলার; এখনও সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রণিত ২০২১-২০২৪ বছরের রপ্তানি নীতির খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, “২০২৪ সাল পর্যন্ত রপ্তানির একটা নীতিমালা আমরা অনুমোদন দিয়েছি। আমাদের বিদ্যমান রপ্তানি বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬০ বিলিয়ন ডলার। এটাকে বাড়িয়ে ৮০ বিলিয়ন ডলারে নির্ধারণ করেছি। এর জন্য যেসব এমেন্ডমেন্ট ও অ্যাডজাস্টমেন্ট করা দরকার সেগুলো করা হবে।”

সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ৫৩৭ কোটি ডলার। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে সরকার আশা করছে।

ইপিবির সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস শেষে পণ্য রপ্তানিতে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

এ সময়ে ২ হাজার ৪৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে; গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে যা ছিল এক হাজার ৯২৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। মহামারীর কারণে গতবছর বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।