রংপুরে দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফারুক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রংপুরে চাঞ্চল্যকর দেলোয়ার হোসেন হত্যার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত দেলোয়ার রংপুরের পীরগাছা থানার অনন্তরাম গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গত ২৭ মে (শুক্রবার) তাঁকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পাশের রেললাইনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের স্থলের কাছের পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছোরাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রংপুর পুলিশ জানায়, দেলোয়ারের লাশ উদ্ধারের পর ২৮ মে (শনিবার) তাঁর স্ত্রী পীরগাছা বাজারের ইজারাদার ফারুক ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ খুনিদের ধরতে এরপরই অভিযানে নামে। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনজন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামি ফারুক কৌশলে পালিয়ে যান। পরে পীরগাছা থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ দল টানা ৭২ ঘন্টার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফারুককে মিঠাপুকুর থানার জায়গীরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের পাশে তাঁর বোনের পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব সি সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম পলাশ জানান, পীরগাছা থানার ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল ৭২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি পুলিশের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।

দেলোয়ার হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফারুক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার ফারুক আদালতে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেছেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে ক্রুদ্ধ হয়ে দেলোয়ারকে খুন করেছেন তিনি। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।