রংপুরে সোমবার দুটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়। ছবি: রংপুর মহানগর পুলিশ

রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আজ সোমবার হারাগাছ ও কোতয়ালী থানাধীন এলাকায় দুটি ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১৫ লাখ টাকার ওষুধ জব্দ করেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনানের নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. সাজ্জাদ হোসেনের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয়। পুলিশ পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজার রহমান, মো. মোতালেব হোসেন, এসআই মো. নাজমুল ইসলাম, তছলিম উদ্দিন আহমেদ ইসলাম, স্বপন কুমারসহ একটি হারাগাছ থানাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের বাহার কাছনায় অবস্থিত ‘বি সান্ত ল্যাবরেটরিজ ইউনানী ফ্যাক্টরি’তে অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা যায় যে প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশের ছাড়পত্র নাই, শ্রমিকদের হাতে হ্যান্ড গ্লোভস ও মাস্ক নেই, ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নেই, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল সঠিকভাবে সংরক্ষন করা নেই, অনুমোদনের বাইরে ওষুধ উৎপাদন করার পাশাপাশি নেই কেমিস্ট। পরে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাশপিয়া তাসরিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক রাশেদুল আনাম প্রামানিককে (৩০) ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি ত্রুটি সংশোধন না করা পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার আদেশ দেন।

দ্বিতীয় অভিযানে পুলিশ পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজার রহমান, মো. মোতালেব হোসেন, এসআই মো. নাজমুল ইসলাম, তছলিম উদ্দিন আহমেদ ইসলাম, স্বপন কুমারসহ একটি দল কোতয়ালী থানাধীন ২৫ নং ওয়ার্ডস্থ নিউ শালবনে অবস্থিত ‘দি মৌভাষা ইসলামিয়া ঔষধ ফ্যাক্টরি’তে অভিযান চালায়। সেখানে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের ছাড়পত্র ও শ্রমিকদের হাতে হ্যান্ড গ্লোভস ও মাস্ক নেই। ঔষধ তৈরির কাঁচামাল সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়নি। অনুমোদনের বাহিরে ঔষধ উৎপাদন করা হয়েছে। কেমিস্ট নেই। ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালের গায়ে মেয়াদ বা ব্যবহার বিধি নেই। বোতলের গায়ে লাগানো লেভেল ও টোকেন সঠিক নয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠানের মালিক এমদাদুল ইসলামকে (৬৫) সাত হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন এবং ত্রুটি সংশোধন না করা পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার আদেশ দেন। উভয় কারখানা থেকে ১৫ লাখ টাকার ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়।