শাহীন আলমের হাতে পুনাক সভানেত্রীর পক্ষে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রংপুরের বদরগঞ্জের এক ভূমিহীন পরিবারের সন্তান শাহীন আলম। অর্থনৈতিক দৈন্যদশা তাঁদের নিত্যসঙ্গী। এরপরও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে শাহীন সুযোগ পেয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু অর্থাভাবে তা হয়নি। এবার আবার ভর্তিযুদ্ধে নেমে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এবারও অর্থাভাব তাঁর এগিয়ে যাওয়ার পথে চরম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সে বাধা কাটাতে শাহীনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা।

শাহীন রংপুরের বদরগঞ্জের বুজরুক বাগবাড়া গ্রামের ভ্যানচালক তাছির উদ্দিনের ছেলে। তাছিরের তিন ছেলে, এক মেয়ে। করোনা মহামারির মধ্যেই মেয়েটির বিয়ে দিয়েছেন। ভূমিহীন তাছির ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। অন্যের জমিতে ঘর বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এই অবস্থার মধ্যেই উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করেন শাহীন। ভর্তির সুযোগ পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু অর্থাভাবে লেখাপড়া চালাতে পারেননি। এরপর এবার ভর্তি পরীক্ষা দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তির সুযোগও পেয়েছেন। কিন্তু আবারও বাধা অর্থনৈতিক দৈন্যদশা।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ জানুয়ারি অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগো নিউজে শাহীনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি পুনাক সভানেত্রীর নজরে আসে। তাৎক্ষণিক তিনি শাহীনের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। শাহীনকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তিনি।