যশোর ডিবির অভিযানে আত্মসাৎকৃত লোহার কুচিসহ গ্রেপ্তার দুজন। ছবি: পুলিশ নিউজ

যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে আত্মসাৎ করা লোহার কুচিসহ দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ঢাকার কদমতলা ও নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার কুমরোল এলাকার সামছুল হক (৪৬) ও যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া এলাকার বাবু (৩৮)।

দুজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী লোহার কুচি ও পণ্যটি বিক্রয় থেকে অর্জিত দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, বেনাপোল স্থল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আজিম উদ্দীন গাজী বিপুল পরিমাণ লোহার কুচি আমদানি করেন। তাঁর আমদানীকৃত লোহার কুচির মধ্যে ২২ টন ৪০০ কেজি একটি ট্রাকে করে বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে গত ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের বিএসআরএম কোম্পানিতে পাঠানোর কথা ছিল। ওই ট্রাকের ড্রাইভার গন্তব্যস্থলে না পৌঁছে মালামাল আত্মসাৎ করে মোবাইল ফোন বন্ধ করেন।

এসপি জানান, খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক আজিম উদ্দীন গাজী বাদী হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। সে মামলার পর অভিযানে নেমে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার কদমতলা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎকৃত লোহার কুচি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে ৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, পরবর্তী সময়ে তদন্তকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকা থেকে একজনকে আটক করে ডিবি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করে আত্মসাৎকাজে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়।

পরে তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, যশোর কোতোয়ালি থানাধীন শংকরপুর আশ্রম রোডে অভিযানে বিক্রিকৃত ৩ টন লোহার কুচির মধ্যে ৩ কেজি লোহার কুচির নমুনা এবং ২ হাজার ৬০০ কেজি লোহার কুচির বিক্রয় লব্দ দেড় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।