যশোরের মনিরামপুর থানা এলাকার এক নারীর (২০) গোপন ছবি ও ভিডিও আছে দাবি করে কে বা কারা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে সেই ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ছড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়। কল করা ব্যক্তিকে চিনতে না পেরে বেশ আতঙ্কে ছিলেন ভুক্তভোগী। সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার ভয়ে মনিরামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পরে বাংলাদেশ পুলিশের যুগান্তকারী কার্যক্রম পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ) ইউনিটে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পিসিএসডব্লিউ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় যশোর জেলা পুলিশকে।

যশোর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং ব্যবহৃত মোবাইল সিমের মালিকের সন্ধান পায়। মনিরামপুর থানা-পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পরে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত পরস্পরের প্রতিবেশী। ফলে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মীমাংসা করা হয়। পরে ভুক্তভোগী জানান, তিনি কোনো মামলা করতে চান না। অভিযুক্ত ব্যক্তি ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা দিলে তাকে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

অপরাধী শনাক্তে দ্রুত সহায়তা করায় পিসিএসডব্লিউ, যশোর সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী।