পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার মিন্টু সরদার। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন সাতমাইল মথুরাপুর মাঠে রেললাইনের পাশে অজ্ঞাত মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে জেলা-পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকারী পালক বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে।

সাতমাইল মথুরাপুর মাঠে রেললাইনের পাশে ১৪/১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী মরদেহ পড়ে রয়েছে- এমন খবর পেয়ে যশোর জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং রেল পুলিশ ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এরপর তারা মৃত কিশোরীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করে। ডিবির এলআইসি শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের জন্য প্রচার করলে জানা যায়, তার নাম আঁখি মনি। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানাধীন দাড়িয়াপুর গ্রামে।

এরপর ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ভিকটিমের গ্রামে যায় এবং তাঁর পালক বাবা মিন্টু সরদারকে (৩৯) আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ মিন্টু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে তথ্য দেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে যশোর রেলস্টেশন সংলগ্ন আবাসিক হোটেল বৈকালীতে অভিযান চালিয়ে হোটেল রেজিস্ট্রারের পাতা জব্দ করে এবং দাড়িয়াপুর গ্রামে আসামির বসতবাড়ি থেকে ভিকটিম আঁখি মনির ব্যবহৃত এক জোড়া নূপুর ও ২ হাজার টাকা জব্দ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার ভিকটিম আঁখি মনিকে তার পালক বাবা মিন্টু সরদার চৌগাছা বলুহ দেওয়ানের মেলায় নিয়ে যান। মেলায় ঘোরাঘুরি শেষে পরের দিন রবিবার যশোর রেলস্টেশনের কাছে হোটেল বৈকালীতে ওঠেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই দিন রাতে ট্রেনযোগে বাড়ি ফেরার সময় রাতে যশোর রেলস্টেশনের পাশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে পুনরায় ধর্ষণ করেন। এরপর রাত আনুমানিক ১১টার সময় সীমান্ত এক্সপ্রেসযোগে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আঁখি মনিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেন এবং ভিকটিমের নূপুর ২টি সিগারেটের প্যাকেটে ঢুকিয়ে তাঁর বসতঘরের পাশে আবর্জনার মধ্যে পুঁতে রাখেন।