যশোরে নারী নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চারজন। ছবি যশোর জেলা পুলিশ

১৫ মার্চ রাত আনুমানিক সাতটার দিকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাধীন আব্দুলপুর গ্রামের একটি মুদিদোকানের সামনে আব্দুলপুর গ্রামের এক মেয়ে (২০) সাঈদ হাসান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে পৌঁছালে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আনিচুর ও তাঁর সঙ্গে থাকা ৫/৭ জন বেআইনিভাবে তাঁদের আটক করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও কিল ঘুষি মেরে লাঞ্ছিত করেন এবং শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়। নির্যাতিত ওই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয় দ্রুত সময়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানা-পুলিশসহ ডিবি পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।

পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় ওসি কোতোয়ালি থানা তাজুল ইসলাম ও ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম যৌথভাবে কোতোয়ালি থানাধীন চুড়ামনকাটি, আব্দুলপুর গ্ৰামে অভিযান চালিয়ে আনিচুর মেম্বারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন আনিচুর মেম্বার (৩৫), ভুট্টু (২৭), আজিম আলী (৪০) ও তৌহিদ হাসান (২৭)।