যশোরের তিনটি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল, গাঁজা, বিদেশি মদসহ ৭ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: যশোর পুলিশ

যশোরের কোতোয়ালি, বাঘারপাড়া ও বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় বুধবার মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

এসব অভিযানে ১৩১ বোতল ফেনসিডিল, ১০ কেজি গাঁজা, ৪ বোতল বিদেশি মদসহ ৭ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কোতোয়ালি: যশোর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এস এম ফুরকান হোসেন, এএসআই আশরাফুল ইসলামসহ একটি চৌকস দল কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টা, বেলা পৌনে ১টা ও সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে অভিযান চালায়। সে অভিযানে গ্রেপ্তার হয় চিহ্নিত মাদক কারবারি যশোরের শার্শা থানার বিল্লাল গাজী (২৯), মাদারীপুর সদর থানার সিদ্দিক মুন্সী (৬০) এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপার হৃতিক সাহা (২১) ও প্রসেন বিশ্বাস নিলয় (২২)।

ওই চারজনের কাছ থেকে ২ কেজি গাঁজা, ৪৩ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁদের নামে ৩টি মামলা করা হয়েছে।

বাঘারপাড়া: এএসআই শরিফুল ইসলাম, এসআই এমরানুর কবীর, এএসআই আব্দুস সালাম লিটনসহ একটি চৌকস দল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাঘারপাড়া থানাধীন মহিরণ গ্রামে শ্রাবণ চন্দ্র দাসের (৪০) বাড়িতে অভিযান চালায়। সে বাড়ি থেকে শ্রাবণ ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয় বেনাপোলের পাটাবাড়ি এলাকার জোবায়ের (১৮) ও একই থানার দীঘিরপাড় এলাকার গফফার আলীকে (৩৫)।

ওই তিনজনের কাছ থেকে ৮৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

বেনাপোল: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পোর্ট থানার এসআই মো. রোকনুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ছোট আঁচড়া গ্রামে মো. রায়হানের বাড়ির পূর্ব পাশের গলি থেকে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি মাদকদ্রব্য ফেলে পালিয়ে যায়।

পলাতক আসামির নাম জামাল হোসেন (৪০)। তাঁর বাড়ি বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় এলাকায়। তাঁর নামে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।