ময়মনসিংহে শান্ত হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের অভিযানে গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ময়মনসিংহে শরীফ চৌধুরী ওরফে শান্ত (২১) হত্যার এক দিনের মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে পিবিআই ময়মনসিংহ টিম অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন মো. রাকিবুল হাসান তপু (২৫), মো. শান্ত ইসলাম (২০) ও মো. আরিফুজ্জামান আরিফ (২২)।

পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ৬ এপ্রিল (বুধবার) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার চরপাড়ায় চৌধুরী ক্লিনিকের গলি থেকে শরীফ চৌধুরী ওরফে শান্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বুক, পেট, মুখ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই ময়মনসিংহ টিম। এর অংশ হিসেবে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পিবিআই। সেই ফুটেজ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর আসামিদের অবস্থান নির্ণয় করে ৮ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রাকিবুল এবং অপর দুই আসামি শান্ত ও আরিফুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

শান্ত হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত শরীফ চৌধুরী ওরফে শান্ত এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিরা বন্ধু ছিলেন। তাঁরা চরপাড়া এলাকার ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা সংগ্রহ করতেন। ১০-১৫ দিন আগে শরীফ চৌধুরী ওই বন্ধুদের ছেড়ে আলাদা গ্রুপ তৈরি করেন এবং নতুন গ্রুপের মাধ্যমে চাঁদা আদায় শুরু করেন। চাঁদার ভাগ পেতে অন্যদেরও তাঁর সঙ্গে থাকতে চাপ দিতে থাকেন তিনি। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হন। ৬ এপ্রিল ঘটনার দিন রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আসামিরা চরপাড়ায় চৌধুরী ক্লিনিকের গলিতে শরীফকে একা পেয়ে হামলা চালান এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। এরপর শরীফ মারা যান।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিন আসামি আরও জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডে তাঁরাসহ পাঁচজন জড়িত। গ্রেপ্তার তিন আসামির তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি চাকু আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে পিবিআই।