পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় দোকান কর্মচারী মোস্তফা হত্যা মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। আসামি মো. আকরাম হোসেন (২৪) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, আসামি আকরামের বাড়ি আলমডাঙ্গা থানাধীন মোড়ভাঙ্গা গ্রামে। এর আগে মামলার প্রধান আসামি সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, গত ১৪ আগস্ট রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ভুক্তভোগী মোস্তফাকে হত্যা করেন। ১০ দিন পর আলমডাঙ্গা থানাধীন মহেষপুর-বাঁশবাড়ীয়া ফেরিঘাট এলাকার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি। তদন্তের এক পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে প্রধান আসামি সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অপর আসামি আকরামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, আসামি সজিবের বড় ভাই জাহাঙ্গীরের দোকানে কাজ করতেন ভুক্তভোগী মোস্তফা। একদিন দোকান থেকে টাকা নেওয়ার সময় সজিবকে দেখে ফেলেন মোস্তফা। বিষয়টি জাহাঙ্গীরকে জানালে মোস্তফার প্রতি ক্ষিপ্ত হন সজিব। এ কারণে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সজিব। অন্যদিকে দোকানে কেনাকাটার সূত্রে আসামি আকরামের সঙ্গে সজিবের পরিচয় হয়। বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার কথা সজিবকে জানান আকরাম। এক পর্যায়ে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে মোস্তফাকে হত্যার প্রস্তাব দেন সজিব।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন হাটবোয়ালিয়া মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী মোস্তফাকে ডাক দেন আসামি সজিব ও আকরাম। কাছে আসামাত্রই মোস্তফাকে মারধর শুরু করেন তাঁরা। এক পর্যায়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মোস্তফাকে হত্যা করেন তাঁরা।