মোল্লা আবদুল গনি বারাদার (মোল্লা বারাদার)। ছবি: রয়টার্স

তালেবান নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার (মোল্লা বারাদার) এক টিভি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন।

আফগানিস্তানে তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা বারাদার। এই সরকার গঠন নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বে গুলিতে তিনি নিহত হন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। শুরু থেকেই অবশ্য তালেবানের পক্ষ থেকে এ ধরনের খবর নাকচ করে দেওয়া হচ্ছিল। খবর প্রথম আলোর।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বলা হয়, মোল্লা বারাদার আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় টিভিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাঁর এ সাক্ষাৎকারের ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছে তালেবানের দোহাভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যালয়।

সংগঠনের ভেতরে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে হতাহত হওয়ার খবর প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে বারাদার বলেন, ‘না, এটা সত্য নয়। আমি ঠিক আছি। ভালো আছি।’

তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বারাদার বলেন, ‘গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে যে তালেবানের ভেতরে বিরোধ আছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। এ-সংক্রান্ত খবর সত্য নয়। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’

বারাদারের সাক্ষাৎকারের যে সংক্ষিপ্ত ভিডিও টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে, এতে তাঁকে সোফায় বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁর পাশেই রয়েছেন সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী।

তালেবানের সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের পদ-পদবি নিয়ে বারাদারের সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রভাবশালী নেতা খলিল উর-রহমান হাক্কানির তুমুল বিবাদ হয়েছে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বারাদার কাবুল ছেড়ে কান্দাহারে চলে যান।
বারাদারকে নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছিল, তালেবানের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে সৃষ্ট সংঘাতকালে গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।

বারাদারের নিহত হওয়ার খবর আগেই নাকচ করে তালেবান। তা ছাড়া এ খবর যে ভিত্তিহীন, তা প্রমাণ করতে আগে বারাদারের একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেছিল তালেবান। এখন প্রকাশ করা হলো তাঁর ভিডিও সাক্ষাৎকার।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান।

তালেবানের কাবুল দখলের এক মাস পূর্ণ হয় গতকাল। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করলেও এখনো মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ হয়নি। এদিকে অর্থনৈতিক সংকট চোখ রাঙাচ্ছে তালেবানকে। অন্যদিকে, ক্ষমতা নিয়ে গৃহবিবাদে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটি। সবকিছু মিলিয়ে এখন হিমশিম অবস্থা তালেবানের।