মে মাসের ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা.শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা
বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। মে মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ডিএমপি এসব পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করে। খবর জাগো নিউজের।

রোববার (১৯ জুন) ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মে মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শ্রেষ্ঠদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

মে মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক, পিপিএম। আর শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) উদয় কুমার মন্ডল।

শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম ও চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণ পদ মজুমদার। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এএসআই হরিদাস রায় ও মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন।

বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণপদ মজুমদার। মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই তারিক উর রহমান শুভ। শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আয়াসিন গাজী।
চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এসআই কাজী মো. খোকন মিয়া।

নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।

মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদত হোসেন সুমা। চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস. এম রেজাউল হক।

আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন কোতয়ালি ট্রাফিক জোনের বিমান কুমার দাস। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাগ ট্রাফিক জোনের শাহ মো. লুৎফুল আনাম। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট/টিএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শেরেবাংলানগর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. শাহাদত হোসেন ও রমনা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান।

এছাড়া ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগসহ সাতটি বিভিন্ন বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার ১২০ জন কর্মকর্তা এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।