গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা। ছবি : সংগৃহীত

মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের।

রোহিঙ্গাদের ভাষ্য, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ‘আরাকান রিপাবলিকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’র সদস্য। এ সংগঠনটিকে খুনের জন্য দায়ী করছে মুহিবুল্লার স্বজনরা।

১৪ এপিবিএন’র অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাত থেকে আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাঁরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১৪ ব্লকের খালেদ হোসেন (৩৩), লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-১৩ ব্লকের মাস্টার সৈয়দ (৩৮), একই ক্যাম্পের জি-১১ ব্লকের মোহাম্মদ শাকের (৩৫), বি-৩ ব্লকের মোহাম্মদ (১৮) ও ডি-৫ ব্লকের মোহাম্মদ ইলিয়াস (২২)।
এক দিন আগে নুর বশরসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল এপিবিএন।

১৪ এপিবিএন’র অধিনায়ক বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে এপিবিএনের একটি বিশেষ দল অভিযান চালায়।এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক পাচার, মানব পাচার, পুলিশ এসল্টসহ বিভিন্ন অভিযোগে উখিয়া থানায় মামলা রয়েছে।

আটক পাঁচজনকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এপিবিএন কর্মকর্তা নাইমুল হক।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে (৪৮) গুলি করে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। তিনি ছিলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ নামে রোহিঙ্গাদের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান।