প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার)। ছবি: ডিএমপি

রাজধানীর মিরপুরে দন্তচিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) মিরপুর বিভাগ। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকার মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকা এবং সাভার থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রায়হান ওরফে সোহেল ওরফে আপন, মো. রাসেল হোসেন হাওলাদার, মো. আরিয়ান খান হৃদয় ও সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার) বলেন, ভুক্তভোগী আহমেদ মাহী বুলবুল পেশায় একজন দন্তচিকিৎসক এবং প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। কিছুদিন আগে নোয়াখালীতে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ পান তিনি। ২৭ মার্চ ভোরে নোয়াখালীর উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। রিকশায় চড়ে পশ্চিম শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজার এলাকা থেকে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া সরণির নাভানা ফার্নিচার শোরুমের সামনে পৌঁছলে কয়েকজন রিকশার গতিরোধ করেন। তাঁরা আহমেদ মাহী বুলবুলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ভুক্তভোগীকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহমেদ মাহী বুলবুলের স্ত্রী মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ছায়াতদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা মালামাল। ছবি: ডিএমপি

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ২৭ মার্চ ভোরে মোট পাঁচজন মিরপুর মডেল থানার পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া সরণি এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই পেশাদার ছিনতাইকারী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

চক্রের অপর সদস্যকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।