মিয়ানমারের ম্যাগওয়ে অঞ্চলে অবস্থিত একটি বৌদ্ধবিহারে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫০ জন।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে সাউ সম্প্রদায়ের মঠ চত্বরে একটি সভা শেষ হওয়ার পরপরই বিমান হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই সভায় জান্তা প্রতিরোধী স্থানীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হামলার তীব্রতা বর্ণনা করে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বোমাটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

নভেম্বরে বিদ্রোহী তিন বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে রাখাইনে সংঘর্ষের মুখে পড়ছে নিরাপত্তা বাহিনী। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের যুদ্ধবিরতি ছিল। কিন্তু নভেম্বর থেকে সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়।

সামরিক বাহিনী এখনো রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের দখলে আছে। তবে এএ যোদ্ধারা ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে ঘাঁটিসহ আশপাশের জেলার নানা অঞ্চল দখল করেছে।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের অল্প সময়ের মধ্যেই মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে সে সময় থেকেই গড়ে উঠতে থাকে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

দশকের পর দশক ধরে সামরিক বাহিনীর জবরদখলের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে আরকান আর্মিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। তবে তাদের এই লড়াই নতুন গতি পেয়েছে ২০২২-২৩ সাল থেকে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো হলো তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন