পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

দর্শনা থানাধীন মোহাম্মদপুরে চাঞ্চল্যকর মিম আক্তার মঞ্জুরা (২৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মো. আলমগীর কবীরকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় মিমকে হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন আলমগীর।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, গত রোববার (২২ অক্টোবর) আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি দর্শনা থানাধীন মোহাম্মদপুর গ্রামে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, গত শনিবার (২১ অক্টোবর) অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা মিম ও আলমগীরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরের দিন রোববার সকালে আলমগীরকে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া পাশের একটি জমি থেকে উদ্ধার করা হয় মিমের গলাকাটা লাশ। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলা করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পায় দর্শনা থানা-পুলিশ ও ডিবি। ভুক্তভোগীর প্রতিবেশীদের বক্তব্য পর্যালোচনা এবং তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভুক্তভোগীর ভাই আলমগীর জড়িত। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিমকে হত্যার কথা স্বীকার করেন আলমগীর।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতেন মিম। এক পর্যায়ে খালাত বোনের স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মিম। বিষয়টি জানতে পেরে মিমকে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন আলমগীর। কিন্তু অস্বীকৃতি জানান মিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আলমগীর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ২১ অক্টোবর রাতে মিমকে বাড়ির পাশের আমবাগানে নিয়ে যান আলমগীর। এরপর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মিমকে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মিমের গলা কেটে দেন তিনি। ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করতে নিজের মাথায় দা দিয়ে কোপ দেন আলমগীর। এরপর রশি দিয়ে নিজের হাত-পা বেঁধে চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করলে অপহরণের নাটক সাজান তিনি।

পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।