জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের লিজা বেগম। তিনি মালিতে কাজ করছেন। ছবি: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ফেসবুক পোস্ট

সংঘাত থেকে বিশ্বকে মুক্তি দিতে বিভিন্ন দেশে কাজ করে চলেছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন। এই মিশনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর দিক থেকে বাংলাদেশের অবদান এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরলস কাজ করে চলেছেন এসব শান্তিরক্ষা মিশনে। তাঁদেরই একজন বাংলাদেশ পুলিশের লিজা বেগম।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে এবং সংঘাতমুক্ত এক বিশ্ব গড়তে নিরলস কাজ করছে বিশ্ব সংস্থাটির শান্তিরক্ষা মিশন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি, ভূমধ্যসাগরের উত্তরাঞ্চলীয় দেশ সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করছে এই শান্তিরক্ষা মিশন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে তাদের ১২টি অপারেশন চলছে এখন। এসব অপারেশনে কাজ করছেন ৯০ হাজার শান্তিরক্ষী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সংঘাতকবলিত এলাকায় যত বেশি শান্তিরক্ষী অবস্থান করেন, বেসামরিক নাগরিক হতাহতের হার তত কমে আসে, সহিংসতার হার কমে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ তত বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ পুলিশের লিজা বেগম কাজ করছেন মালিতে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্যমতে, লিজা মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, শান্তিরক্ষায় সাফল্য নির্ভর করে বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার ওপর। কারণ, এতে অর্থপূর্ণ অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।

২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে ২০ মে (শুক্রবার) ফেসবুকে লিজাকে নিয়ে পোস্টটি দেয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন।

লিজা জাতিসংঘ পুলিশের (ইউএনপোল) কর্মকর্তা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন ও স্থানীয় জনমানুষের জীবনমানের উন্নয়নের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। মালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি মিনুসমায় বিভিন্ন অংশীজন ও সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন।