নবজাতক কোলে মা শিউলি ও আটক চারজন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার একটি ক্লিনিক থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক শিশুকে মামলার ৩ ঘন্টায় উদ্ধার করেছে সাটুরিয়া থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর জেলার শিবালয় থানার
মোসাম্মৎ শিউলি আক্তার ওরফে সন্তান প্রসবজনিত বিষয়ে তার পরিচিত মো. নাজমুল হোসেনের (২৬) সাহায্য চাইলে তিনি সাটুরিয়া থানাধীন নয়াডিঙ্গী রিয়া ক্লিনিকের ম্যানেজার মামুনের মাধ্যমে শিউলিকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন।

সেখানে বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় শিউলি আক্তার পুত্রসন্তান প্রসব করেন। এ সময় ওই ক্লিনিকে মো. ইমান আলী, ময়না বেগম (৩২) ও মোসাম্মৎ শিরিন আক্তার (২৬) নামে ৪ জন উপস্থিত ছিলেন।

সন্তান প্রসবের ১ ঘন্টার মধ্যে ক্লিনিকের ম্যানেজার মো. আল মামুনের (২৫), সহযোগিতায় নাজমুল, ইমান আলী, ময়না খাতুন ও সামছুল হক (৬৫) নবজাতক শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে শিউলি আক্তার কিছুটা সুস্থ হয়ে তাঁর বাচ্চাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ক্লিনিকের বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলে কেউ কোনো উত্তর দেয় না। পরে শিউলি লোকজন নিয়ে নাজমুলের বাড়িতে গেলে নাজমুল কোনো কথা বলে না।

শিউলী আক্তার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে তাঁর নবজাতক সন্তানকে না পেয়ে ২৬ নভেম্বর সাটুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খানের নির্দেশক্রমে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে দুটি টিম তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে।

দীর্ঘ ৩ ঘন্টা সাটুরিয়া থানাসহ আশপাশের বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাত ১০টার সময় সাটুরিয়া থানাধীন ফুকুরহাটি ইউনিয়নের মাঝিপাড়ার জনৈক জসিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার ও ৪ জনকে আটক করে। তবে নাজমুল ও শামসুল পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।