শিশু আল–আমিন অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির দুজন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

মানিকগঞ্জে শিশু আল–আমিন (৭) অপহরণ ও হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে দুজন হলেন মো. হৃদয় হোসেন (২০) ও মো. সাদ্দাম হোসেন (১৯)। গ্রেপ্তার অপর আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক।

পিবিআই সদর দপ্তরে ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম জানান, গত ২৮ আগস্ট সকালে শিশু আল–আমিন বাড়ির সামনের রাস্তায় সাইকেল নিয়ে বের হয়।
এরপর অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও সে না ফিরলে স্বজনেরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে আল–আমিনের বাবা মো. শহিদুল ইসলাম পরদিন সিংগাইর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৩১ আগস্ট সকালে বেরুন্ডি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে মাটি খুঁড়ে একটি বস্তার ভেতর থেকে আল–আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিশু আল–আমিন
এ ঘটনায় পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গ্রেপ্তার কয়েকজনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করেন পিবিআই সদস্যরা। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে আল–আমিনের বাইসাইকেলটি উদ্ধার করা হয় এবং তাকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য যে কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। তারই অংশ হিসেবে তাঁরা শিশু আল-আমিনকে বন্যার পানি দেখানোর কথা বলে বেরুন্ডি গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে আল-আমিনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেন। আর তার পরা গেঞ্জি ও প্যান্ট খুলে রেখে দেয় মুক্তিপণ আদায়ে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। আল আমিনের বাইসাইকেলটি হৃদয়ের বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন তাঁরা। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুঠোফোন নম্বরের নতুন সিম সংগ্রহ করতে না পারায় তাঁরা মুক্তিপণ দাবি করতে আল–আমিনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।