পুলিশের হেফাজতে ৪ আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ।

মানিকগঞ্জের জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে একটি অপহরণ মামলার ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন। উদ্ধার করেছেন অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেট কার।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুলাই মামলার বাদী মো. রুবেল আহম্মেদ পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় লাল খয়েরি রঙের একটি প্রাইভেট কারের (রেজিস্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্রো-গ-১৭-৩৬২৮) অজ্ঞাতনামা ড্রাইভার তাঁকে ঢাকা যাওয়ার জন্য ডাক দিলে তিনি ২০০ টাকা ভাড়া ঠিক করে প্রাইভেট কারে ওঠেন। এরপর তিনি ড্রাইভারের পেছনের সিটে আরো ২ জন যাত্রী ও ড্রাইভারের পাশের সিটে ১ জন যাত্রী দেখতে পান। গাড়িটি শিবালয় থানাধীন সংযোগ মোড় পার হওয়ার পর গাড়ির ভিতরে থাকা অজ্ঞাতনামা ৩ জন তাঁর মুখ, হাত, পা গামছা দিয়ে বেঁধে এবং গাড়ির সিটবেল্ট দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে জখম করে সাথে থাকা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে খুন, জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে তাঁর রকেট নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। পরিবারের লোকজন টাকা পাঠালে আসামিরা ওই টাকা এটিএম বুথ এবং রকেটের দোকান থেকে তুলে তাঁকে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানাধীন পাকুল্ল্যা নামক স্থানে হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে রেখে চলে যায়।

এ ঘটনার বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানায় মামলা করা হয়। মামলার তদন্তের ভার জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই সৈয়দ আজহারুল ইসলামের ওপর ন্যস্ত করা হয়।

এরপর মানিকগঞ্জ ডিবির একটি আভিযানিক দল এসআই সৈয়দ আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে মামলাটির তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৬ জুলাই ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম (৩৬), আব্দুস সাত্তার (৪৬), হাবিবুর রহমান (২০) ও রিপন মিয়াকে (২৪) অপহরণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার, ৭ হাজার টাকাসহ আটক করেন।

আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হলে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।