বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের সক্ষমতা উন্নয়ন ও জোরদারের লক্ষ্যে সরকার ও হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ মে সরকারের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং কেমব্রিজের হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টার অব হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের পক্ষে প্রফেসর ডগলাস ডব্লিউ. এলমেন্ডোর্ফ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও), বাংলাদেশ এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল (এইচকেএস)-এর দি অ্যাশ সেন্টার ফর ডেমোক্র্যাটিক গর্ভন্যান্স অ্যান্ড ইনোভেশনের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এতে কারিকুলাম তৈরি ও জনপ্রশাসন পর্যালোচনা, নীতি নির্ধারকদের পাঠদান ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যৌথ গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হলো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলি আজম, নিউইয়র্কে বংলাদেশে কনস্যুলেট জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, জিআই এর পরিচালক ড. শামিমা নাসরিন এবং জিআইইউর ডেপুটি ডিরেক্টর আরিফুজ্জামান।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ড. কায়কাউস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৩০ অর্জনে প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন।

অ্যাশ সেন্টারের সাথে এই সহযোগিতা বাংলাদেশে দক্ষণ মানবসম্পদ গড়ে তুলে সরকারি সেবার মান বাড়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন ড. কায়কাউস। আর বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে এটি অত্যন্ত জরুরি। আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশ সরকার ও হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের মধ্যে এই সম্পর্ক; বিশেষত শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা করেন।

প্রফেসর ডগলাস ডব্লিউ এলমেন্ডোর্ফ এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের অতি-সম্প্রতি ব্যাপক আর্থসামাজিক অর্জনের জন্য দেশটির সক্রিয় ও প্রায়োগিক নীতির এবং কৌশলের পাশাপাশি দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।