মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নোয়াখালীর এসপি শহীদুল ইসলাম পিপিএম। ছবি: পুলিশ নিউজ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুধারাম (সদর) ও বেগমগঞ্জ থানা এলাকা সফর করেছেন মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার তিনি নিজ জেলায় যান।

মাননীয় মন্ত্রী ঢাকা থেকে সড়কপথে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন তাঁর নিজ বাড়িতে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পৌঁছান। ওই সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম পিপিএমের পাশাপাশি নোয়াখালী-২, নোয়াখালী-৩, নোয়াখালী-৬ এবং ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্যরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

জেলা পুলিশের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল মাননীয় মন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম প্রদান করে। তারপর মাননীয় মন্ত্রী মা-বাবার কবর জিয়ারত করেন। এরপর তিনি তাঁর বাড়িতে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা-কর্মী (মেয়র কাদের মির্জার অনুসারী), গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সে সময় উপস্থিত নেতা-কর্মী ও আত্মীয়স্বজনের জন্য মাননীয় মন্ত্রীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

বেলা দেড়টার দিকে মধ্যাহ্নভোজ শেষে কোম্পানীগঞ্জ ডাকবাংলোর উদ্দেশে রওনা করাকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বিষয়ে বক্তব্য দেন মাননীয় মন্ত্রী। ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সোয়া ২টার দিকে ডাকবাংলোতে উপস্থিত হয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। ওই সময় তিনি বলেন, ‘দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দলের ভেতরে কোনো বিভাজন থাকা চলবে না।’

পরবর্তী সময়ে ২টা ২৫ মিনিটে কবিরহাট উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন মাননীয় মন্ত্রী। ২টা ৪০ মিনিটে তিনি কবিরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে পৌঁছে ওই এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও বক্তব্য দেন। সেখান থেকে ৪টা ২০ মিনিটে কবিরহাট জিরো পয়েন্টে পথসভায় উপস্থিত হয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তিনি।

মাননীয় মন্ত্রী ৪টা ৫০ মিনিটে কবিরহাট থেকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়ে ৫টা ৫০ মিনিটে এসে উপস্থিত হন। পরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মাননীয় মন্ত্রী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকে সবার সাথে দেখা করেছি। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

তিনি সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মাননীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দল করলে দলের নিয়ম মানতে হবে। আপনাদের কাছ জনগণ ভালো ব্যবহার আশা করে। সবাইকে ভালো আচরণ করতে হবে।’

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাননীয় মন্ত্রী বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনীর উদ্দেশে রওনা হন। ৬টা ৫৫ মিনিটে চৌমুহনীতে পৌঁছে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চৌমুহনী ব্যাংক রোডের ইসলাম মার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেট আকস্মিক পরিদর্শন করেন তিনি।

ওই সময় ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফেনী জেলা সার্কিট হাউসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।