রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বৃহস্পতিবার জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকের সঙ্গে এক বৈঠকের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: বাসস

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের দিনক্ষণ পুনর্নির্ধারণ করা হবে। তবে খুব শিগগির এটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকের সঙ্গে এক বৈঠকের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘শিগগির এই সফর হবে।’ খবর বাসসের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত এই সফর সম্পর্কে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তারিখ ঘোষণা করা না হলেও গণমাধ্যমে একটি তারিখ প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু ওই তারিখে পরিকল্পিত সফরটি হবে না। টোকিওর রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে, কূটনীতির প্রয়োজনে শেষ মুহূর্তে এ ধরনের পরিবর্তন হতে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা একটি তারিখ শুনেছেন, কিন্তু জাপানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সফরটি সেই তারিখে হবে না।’

পরে ভিন্ন এক প্রতিক্রিয়ায় মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, জাপানে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা চলছে এবং ‘আমরা পরিস্থিতিটি পর্যবেক্ষণ করছি’। তিনি বলেন, জাপানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরেকটি ইস্যু। এর ফলে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের সেখানে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ থাকতে পারে, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বেশিসংখ্যক ব্যবসায়ীর জাপান সফরের কথা।

এর আগে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ-জাপানের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। এই সফরের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে।’ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুদেশের মধ্যে কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

ইতোপূর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ২৯ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টোকিও সফরে যেতে পারেন।

জাপান ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গত এক মাসে জাপানের তিন মন্ত্রীর পদত্যাগের খবর প্রকাশিত ও সম্প্রচারিত হওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর পেছানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সর্বশেষ গত রোববার জাপানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী মিনোরু তেরাডা পদত্যাগ করেন।