পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আমবাগিচা খালপাড় এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন সবজি বিক্রেতা মো. সুকুর (৪২)। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। মাদকের টাকার জন্য ছিনতাই করতে গিয়ে সুকুরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন আসামিরা।

রোববার (৮ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) জানান, ঢাকা মহানগর, কেরানীগঞ্জ ও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন শরীয়তপুরের সখিপুর থানা এলাকার ইমন (২৫) ও জাজিরা থানা এলাকার মো. মন্টু (২০) এবং ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার রুবেল (৩২), মো. দীপু (২২) ও মো. হানিফ (২৮)। তাঁদের মধ্যে হানিফের বিরুদ্ধে পাঁচটি, রুবেলের বিরুদ্ধে চারটি এবং ইমন, মন্টু ও দীপুর বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, ১ অক্টোবর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আমবাগিচা খালপাড় এলাকা থেকে সবজি বিক্রেতা সুকুরের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা এলাকায়। ওই দিন ভোরে শুকুর সবজি কেনার জন্য মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের পাউসার গ্রাম থেকে ঢাকার শ্যামবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্রই অজ্ঞাতপরিচয় ছিনতাইকারীরা সুকুরকে ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা শেখ ওয়াজউদ্দিন (৬৫) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, আসামিরা মাদকাসক্ত ও পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের টাকায় মাদক সেবন করেন তাঁরা। মাদকের টাকা জোগাড় করতে ঘটনার আগের রাতে ছিনতাইয়ের টার্গেট খুঁজছিলেন আসামিরা। ভোরের দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আমবাগিচা খালপাড় এলাকায় সুকুরের রিকশার গতিরোধ করেন আসামিরা। একপর্যায়ে সুকুরকে ছুরিকাঘাত করে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন তাঁরা।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)।