এপিবিএনের হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন ) অভিযানে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা এলাকা থেকে চোরাই মালপত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ফুলপুর থানার গোয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. আব্দুস সবুর (৫৩ ১৩ নভেম্বর ২ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) বরাবর একটি অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে সাবিকুন নাহার সালমা (২৫), দুই নাতনি জিয়ানা (৪), আবিবা (১) এবং ছোট ছেলে রাকিবুল হাসান (১৮) গত ২৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় ময়মনসিংহ থেকে তাঁর বাড়ি আসার জন্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে ময়মনসিংহ ব্রিজ থেকে উঠে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় ফুলপুর থানাধীন আমুয়াকান্দা মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছানোর পর রাকিবুল হাসান সিএনজি থেকে জিয়ানাসহ একটি লাগেজ নিয়ে নামে এবং সালমাকে কন্যা আবিবাকে নিয়ে নামলেও অটোরিকশায় থাকা তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগ নামানোর আগেই অটোরিকশাচালক ব্যাগে মূল্যবান জিনিসপত্র আছে টের পেয়ে সুকৌশলে অটোরিকশা চালিয়ে হালুয়াঘাট অভিমুখে চলে যান।

ব্যাগে দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি স্বর্ণের চেইন, দুটি স্বর্ণের আংটি, একটি হীরার অংটি, তিন জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, যার পরিমাণ অনুমান দুই ভরি চার আনা, নগদ আট হাজার টাকা ছিল।

সালমা ও রাকিব অনেক চিৎকার করেও চালককে থামাতে পারেননি।

পরে রাকিব ফুলপুর থানায় ৩টি পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন। একই সাথে আইনগত সহায়তা চেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন এবং ২ এপিবিএন সাইবার শাখায় উল্লেখিত ৩টি জিডির কপি পাঠান।

মো. আবদুস সবুরের অভিযোগ এবং জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ২ এপিবিএনের অধিনায়ক আলী আহমদ খানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ,বি,এম সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ২ এপিবিএনের সাইবার টিম ও এপিবিএন হেডকোয়ার্টাসের্র সিআইএ/এলআইসি শাখার উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় সালমার মোবাইল ফোনের বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করে ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সময় ২ নং বিবাদী মো. সজীবের (২২) হেফাজত থেকে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানাধীন কোদালধর বাজারের মো. জনির মুদিদোকানের সামনে থেকে সজীবকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সজীব উল্লেখিত মোবাইল ফোন ২টি ১ নং বিবাদী মো. রাশেদের (৩৮) কাছ থেকে কিনেছেন বলে জানান। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে একই দিন রাত ৮টার দিকে মো. রাশেদের অবস্থান শনাক্ত করে তারাকান্দা থানাধীন কোদালধর বাজার এলাকা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সালমার ভ্যানিটি ব্যাগ ও মালপত্র নিয়ে পালানোর কথা স্বীকার করেন এবং বর্ণিত মোবাইল ফোন ২টি সজীবের কাছে এবং স্বর্ণালংকার ৩ নং বিবাদী বাবন চন্দের (৩৬) স্বর্ণের দোকান ‘চন্দ জুয়েলার্সে‘ বিক্রি করেছেন বলে জানান। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে একই তারিখ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানাধীন মধ্যবাজার বাবন চন্দ জুয়েলার্সের দোকান থেকে বাবন চন্দকে (৩৬) আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, ওই সব চোরাই স্বর্ণালংকার ১ নং আসামি মো. রাশেদের (৩৮) কাছ থেকে কিনে গলিয়ে অন্যখানে বিক্রি করেছেন। পরে আটক ৩ জন আসামি ও উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ফুলপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

আব্দুস সবুরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ফুলপুর থানায় মামলা দায়ের হয়।