মধ্যনগর থানা-পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার ৩ ডাকাত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের দুর্গম হাওরের নৌপথে ডাকাতির সময় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যনগর থানা-পুলিশ। রোববার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের বিষাড়া গ্রামের পাশের গুরুমার হাওরসংলগ্ন বৌলাই নদীপথে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার ডাকাতেরা হলেন পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে সোহরাব মিয়া (২৬), একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে ইমরান মিয়া (৪০) ও তাহের আলীর ছেলে মহিবুল মিয়া (৫০)।

মধ্যনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদর ইউনিয়নের গোজাখলিয়া গ্রামের মৃত মন্টু সাহার ছেলে মুদিদোকানি মিল্টন সাহা দীর্ঘদিন ধরে নৌকাযোগে নৌপথে থাকা বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামে মালামাল বিক্রি করে আসছিলেন।

এ অবস্থায় প্রতিদিনের মতো তিনি রোববার ভোরে মধ্যনগর বাজার থেকে দোকানের মালামাল নিয়ে নৌকাযোগে বিষাড়া গ্রামে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পরে ওই দিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাঁর নৌকাটি গুরমার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধসংলগ্ন যাওয়ামাত্রই সেখানে ওত পেতে থাকা ৬ সদস্যের ডাকাত দল মালবোঝাই নৌকাটি আটক করে।

বিষয়টি টের পেয়ে ব্যবসায়ী মিল্টন সাহা তাঁর সঙ্গে থাকা ২ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নদীর পাড়ে নেমে দৌড়ে চলে যেতে যান। একপর্যায়ে ডাকাতেরাও দৌড়ে তাঁকে ধরে ফেলে। এ সময় ডাকাতেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ব্যবসায়ী মিল্টন সাহাকে জখম করে সঙ্গে থাকা ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তারা বিষাড়া গ্রামসংলগ্ন একটি জঙ্গলে গিয়ে লুকিয়ে থাকে।

এ সময় মিল্টন সাহার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি শুনে ওই জঙ্গলের চারপাশে ঘিরে ফেলে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মধ্যনগর থানা-পুলিশ ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। অন্য তিন ডাকাত পালিয়ে যায়। ডাকাতদের কাছ থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি রামদা, ২টি ডিঙি নৌকা ও মাছ ধরার জাল উদ্ধার করা হয়। ডাকাতদের বিরুদ্ধে ওই দিন দুপুরে থানায় ব্যবসায়ী মিল্টন সাহার মামলা দায়েরের পর তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।