ভূরুঙ্গামারী থানায় তিন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

পরিবারকে না জানিয়ে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে পঞ্চম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী কক্সবাজার গিয়েছিল। পরে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর ভূরুঙ্গামারী থানাধীন পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ গ্রামের বেলদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র ফরহাদ হোসেন এবং তার অপর দুই সহপাঠি মিম খাতুন এবং তানিয়া খাতুন পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে কক্সবাজার যায়। এদিকে অভিভাবকরা তাদের খুঁজে না পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় এসে তিনটি পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন।

নিখোঁজ ছাত্র-ছাত্রীদের হারানোর বিষয়ে জিডির প্রেক্ষিতে ভূরুঙ্গামারী থানাপুলিশ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে।

তৎক্ষণাৎ ভিকটিমদের পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালানোর সময় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৮ নভেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানাধীন ডলফিন মোড় এলাকায় তাদের অবস্থানের বিষয় জানতে পারে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম। এরপর পুলিশের টিম ডলফিন মোড় এলাকায় উদ্দেশে রওনা করে। ১৯ নভেম্বর কক্সবাজার পৌঁছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের সহায়তায় পুলিশের টিম ভিকটিমদের সুস্থ শরীরে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

পরে ভিকটিমদের জিজ্ঞেসাবাদে জানা যায়-তানিয়ার দীর্ঘদীনের শখ সে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাবে। কিন্তু তার বয়স কম হওয়ায় তার সহপাঠি মো. ফরহাদ হোসেন এবং মিম খাতুনের শরণাপন্ন হন। পরবর্তীতে তারা তিন সহপাঠি মিলে পরিকল্পনা করে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রায় ২৮ হাজার টাকা গোপনে হস্তগত করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করে।

গতকাল ২০ নভেম্বর ভিকটিমদের নিয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় পৌঁছে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের উপস্থিতিতে এবং নারী ও শিশু অফিসারের সহায়তায় তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় জিম্মা নামা ও অঙ্গীকারনামা আমলে হস্তান্তর করা হয়।