পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ভুয়া ডিবি কর্মকর্তা রাম প্রসাদ দত্ত ও মাইক্রোবাসের চালক সোহেল রানা। ছবি: পুলিশ নিউজ

যশোর ও মাগুরা থেকে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ও মাইক্রোবাসের এক চালককে গাড়িসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যশোর ডিবির একটি দল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জেলার ঝিকরগাছার নাভারনের সাতক্ষীরা মোড়ে অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডিবি রাম প্রসাদ দত্ত (৫২) ওরফে রাম বাবুকে আটক করে।

পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাগুরার শালিখা থানাধীন আড়পাড়া মাইক্রোস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হায়েস মাইক্রোবাস (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ছ-৭১-১৭৫২) জব্দ ও চালক সোহেল রানাকে (২৫) আটক করা হয়।

দুজনের মধ্যে রাম বাবুর বাড়ি যশোরের মনিরামপুরের খাজুরা এলাকায়। তিনি জেলার কোতোয়ালি থানার বেজপাড়া তালতলার ছায়াবীথি রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সোহেল রানার বাড়ি মাগুরার শালিখার গোপাল গ্রামে।

যশোর পুলিশ সুপারের (এসপি) প্রেস নোটে বলা হয়, একটি ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত মাইক্রোবাস ও দেড় লাখ টাকার মালামালসহ গত ১২ আগস্ট হাতেনাতে ধরা পড়ে চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল মিজানসহ ৪ ডাকাত। এ ঘটনায় যশোরের বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা এসপির নির্দেশে যশোর ডিবি এর তদন্তভার নেয়।

ডিবি দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি চৌকস দল দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও তিন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে লুণ্ঠিত টাকা, মোবাইল উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার ও দুটি চাকু জব্দ করে।

প্রেস নোটে উল্লেখ করা হয়, গাড়ি ডাকাতির মামলার সাত আসামির মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে, ডাকাত দলের সদস্যরা ডিবি, পুলিশ, র‌্যাব পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করেন। তাঁরা বিশেষ করে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের টার্গেট বানান।

জেলা পুলিশ আরও জানায়, আসামিদের জবানবন্দির ভিত্তিতে ভুয়া ডিবি কর্মকর্তা রাম বাবুকে ধরতে অভিযান শুরু হয়। এতেই রাম বাবু ও সোহেল রানা ধরা পড়ে।

আটকের পরের দিন ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাম বাবুকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে সোহেল রানার জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যশোরের মুখ্য বিচারিক হাকিম মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় সোহেলের জবানবন্দি নেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত পলাতক সদস্য, তাঁদের ব্যবহৃত পুলিশের বিভিন্ন সরঞ্জাম, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে তদন্ত অব্যাহত আছে।