রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদরদপ্তরে বৃহস্পতিবার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, আরএমপির স্টিয়ারিং কমিটির ২০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, আরএমপির স্টিয়ারিং কমিটির ২০তম সভা আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক। সভায় পুলিশ কমিশনার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সহযোগী এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, বিভিন্ন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে সেবা দেওয়া হয়। সহিংসতার শিকার নারীদের ক্ষেত্রে যেকোনো বয়স এবং ছেলেশিশুর ক্ষেত্রে আট বছর পর্যন্ত সেবা দেওয়া হয়। সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের সব ধরনের আইনগত সেবা, চিকিৎসা সেবা ও কাউন্সিলিং সেবা দেওয়া ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উদ্দেশ্য। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ২১১ জন নারী ও শিশুকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেওয়া হয়েছে। সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের সেবা দেওয়ার বিষয়টি সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব বলে কমিশনার তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রমকে সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনার আরএমপির ১২ থানার ওসিকে বিশেষ নিদের্শনা দেন। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা নিরসনে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় আগামীতে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আরএমপি’র পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. রশীদুল হাসান পিপিএম এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।