ডার্ক ওয়েব থেকে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংগ্রহ করে দেশে-বিদেশে টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করত একটি চক্র। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দেশে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করেছে। এভাবে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

এ চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। খবর জাগো নিউজের।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আব্দুল হালিম (১৯), মোজাহিদ (২২) ও মো. আব্দুল্লাহ (১৮)। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন এবং ৮টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। তাঁদের মোবাইল ফোনে অসংখ্য পর্নোগ্রাফি ভিডিও কন্টেন্ট পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিক্রি করার বিজ্ঞাপন প্রচার করতেন। মূলত উঠতি বয়সী তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে এসব পর্নোগ্রাফি ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রি করছিলেন। মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করে অবৈধ ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন তাঁরা। চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ভিডিওসহ সব ধরনের পর্নোগ্রাফি ভিডিও তাঁরা ক্লাউড স্টোরেজ মেগা নামক সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরবরাহ করে আসছিলেন।

এডিসি নাজমুল ইসলাম আরও জানান, ডার্কওয়েব থেকে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ভিডিও ও বিভিন্ন অ্যাবিউসিভ ভিডিও সংগ্রহ করে গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ অনলাইন ক্লাউড স্টোরেজ মেগা ব্যবহার করে অন্যদের কাছে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করতেন।

মো. আব্দুল্লাহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও একই পদ্ধতিতে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন বলে জানান নাজমুল ইসলাম।

সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসে অ্যাকাউন্ট খুলে ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন। পর্নোগ্রাফি ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত তাঁরা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

অভিযুক্তদের কাছে বেশ কিছু শিশু পর্নোগ্রাফির কন্টেন্ট পাওয়া গেছে। তাঁদের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত আছে। জড়িতদের শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান সিটি-সাইবারের এডিসি নাজমুল।