যশোর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামি কামরুল। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে আসা স্বামী কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে যশোরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

গত ১৫ এপ্রিল যশোর কোতোয়ালি থানাধীন বানিয়ারগাতী এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০) তাঁর স্ত্রী সালমা খাতুনকে (২৪) চাকরির প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে যান। পরে ৮ মে স্বামী কামরুল ইসলাম দেশে ফিরলেও স্ত্রী সালমা খাতুন ফিরে না এলে তাঁর পরিবারের লোকজন কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন তিনি তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ভারতে সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পেয়ে তাঁর বাবা সহিদুল ইসলাম গতকাল ১১ মে কোতোয়ালি মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা করেন।

ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম রহস্য উদঘাটন ও ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশকে নির্দেশনা দেন।

পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম তদন্তে নামে এবং জানতে পারে, ভিকটিম সালমা খাতুনকে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাঁকে হত্যা করে কামরুল দেশে এসে পালিয়ে আছেন।

এরপর মামলার তদন্তকারী এসআই বিমান তরফদারের অধিযাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার পিপিএমের নির্দেশে এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএমের নেতৃত্বে থানা ও ডিবির একটি চৌকস দল গতকাল রাত ১২টার সময় কোতোয়ালি থানাধীন বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে জানা যায়, স্ত্রী সালমা খাতুনকে চাকরির প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে গুজরাট রাজ্যের আনান্দ জেলার ভালেজ থানা এলাকায় আটক রেখে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সেখানে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে নাকে-মুখে আঘাত এবং শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে আসেন কামরুল।

পুলিশ তাঁর কাছ থেকে ৩টি পাসপোর্ট, ভিকটিম সালমা খাতুনের একটি পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।