ভারতের উত্তরাখন্ডে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যার কারণে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও সেতু। প্রত্যন্ত ও বিপজ্জনক এলাকায় আটকা পড়েছেন কিছু স্থানীয বাসিন্দা ও পর্যটক। খবর এনডিটিভির।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজন নেপাল থেকে আসা শ্রমিক। পৌড়ি জেলার প্রশাসক বিজয় কুমার জোগডান্ডে বলেন, ওই তিন নেপালি শ্রমিক জেলার একটি ঢালে থাকতেন। ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যার তোড়ে ভেসে আসা জলমাটিতে তাঁরা চাপা পড়েছেন। চম্পাবত জেলায় ঘর ভেঙে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় নির্মাণাধীন একটি সেতু বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে ১৯ অক্টোবর টেলিফোনে কথা বলেছেন। মোদি উত্তরাখন্ড রাজ্যকে কেন্দ্র সরকারের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তরাখন্ডের সুপরিচিত নৈনিতাল লেক ভারী বৃষ্টির কারণে উপচে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের ১৯ অক্টোবরের ছবিতে দেখা যায়, ওই লেক ও রাজ্যের নদীগুলো উপচে বন্যার পানি আশপাশের বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক জায়গায়েই হাঁটুপানি জমে গেছে।

এএনআইয়ের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক মোটরসাইকেলচালককে সতর্ক করার চেষ্টা করছেন। হালদুয়ানি জেলায় গৌলা নদীর ওপর তিনি যে সেতুটি পার হচ্ছিলেন, তা ওই সময় বন্যার তোড়ে ভাঙা শুরু হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের চিৎকারে সতর্ক হয়ে ওই মোটরসাইকেলচালক পরে সেতু থেকে নেমে যান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান ‍শুরু হয়েছে।