ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বন্দুকধারীর গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেসহ দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে ৩৫ বছর বয়সী এরশাদুল হককে শুক্রবার রাতে কুড়িঘর গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাদল সরকার নামে আরেক যুবক নিহত হন।

নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশীদ জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িঘর গ্রাম থেকে একজনকে আটক এবং ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে আটক ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা যায়নি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

নিহত এরশাদুল (৩৫) আসন্ন নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। তাঁর বাবা আবুল কাশেমের অসুস্থতার কারণে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। আর নিহত বাদল সরকার (২৫) একই ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, রাতে একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন এরশাদুল ও বাদল। পথে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারী তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই বাদলের মৃত্যু হয়। পরে এরশাদুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।