পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার ডাকাত মো. জুয়েল। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার লাউতলি এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধানসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ডাকাত দলের প্রধান শহিদ ওরফে লেংড়া শহিদ ওরফে কবিরাজ সহিদ(৫৮),এমাম হোসেন(৪২), মোঃ জুয়েল(২৯) ও মোঃ রফিক উল্যা (৩৭)। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা, একটি দেশি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ২ টা থেকে আড়াইটার মধ্যে বেগমগঞ্জ থানাধীন ১৩ নং রসুলপুর ইউপি এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের লাউতলী মাস্টার পাড়ায় অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন ডাকাত জনৈক মো. ইউসুফের বসতঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে অস্ত্র দেখিয়ে বাড়ির সদস্যদের হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর আলমারি ভেঙে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার, শাড়ি সহ সর্বমোট ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মো.ইউসুফের স্ত্রী সকিনা বেগম বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে এ ঘটনার তদন্তভার থানার এসআই মো. ইসহাক মিয়ার উপর অর্পণ করা হয়।

এরপর বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারে নাজমুল হাসান রাজিবের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়।

মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় জানা যায় যে, বাদী ও পলাতক এক আসামি সেলিমের মধ্যে গ্রামের একটি পুকুর লিজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা রয়েছে। লাউতলী গ্রামের আসামি এমাম হোসেন এবং পলাতক আসামি সেলিম জানতে পারেন যে, মামলার বাদীর ঘরে পুকুর লিজ নেওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা রক্ষিত আছে। এরই প্রেক্ষিতে আসামি এমাম নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা তথা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সরদার শহীদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন। এরপর জুয়েল, রফিক উল্লাহ ও বেলালসহ মোট ১১ জন ডাকাত ৩ অক্টোবর গভীর রাতে ছেনী, কিরিচ, ছোরা, পাইপগান ইত্যাদি নিয়ে বাদীর বসতঘরে প্রবেশ করে ডাকাতি করেন।

অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।