বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে কয়েকটি হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলার জন্য স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, পশ্চিম আফ্রিকার দরিদ্র দেশটিতে সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে সপ্তাহান্তে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।

একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ১১ জুন বাম প্রদেশের এ্যালগা শহরে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেছেন, বিপুলসংখ্যক সন্ত্রাসী এসে বোলুঙ্গা গ্রাম এবং এ্যালগার সোনার খনি এলাকায় আক্রমণ করে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং সোনার খনি এলাকায় লুটপাট চালায়। এ সময় কমপক্ষে চারজন আহত হন। বাসিন্দারা ১২ জুন গ্রাম ছেড়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে বড় শহরের দিকে যাচ্ছিল।

দ্বিতীয় নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ১১ জুন রাতে নাইজার সীমান্তের কাছে দেশের উত্তরাংশে সেতেঙ্গাতে আরেকটি হামলা হয়েছে। বিশদ বিবরণ না দিয়ে সূত্রটি বলেছে, এতে বেশ কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছেন। সেতেঙ্গার লোকজন বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে ডোরি শহরে পালিয়ে গেছে।

রোববার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির জটিলতার কারণে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৯ জুন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা সেতেঙ্গায় ১১ জন পুলিশকে হত্যা করেছে। পুলিশের একটি দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। সামরিক বাহিনী বলেছে, হামলায় বেশ কিছু সন্ত্রাসী ও সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।