বিশ্বে প্রতিদিন ক্ষুধার কারণে মারা যায় ১৯ হাজার ৭০০ জন মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে ক্ষুধার কারণে প্রতি চার সেকেন্ডে মারা যাচ্ছে অন্তত ১ জন। সেই হিসেবে প্রতিদিন মারা যায় ১৯ হাজার ৭০০ জন। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘বৈশ্বিক ক্ষুধার দুষ্টচক্র’ শেষ করতে আহ্বান জানিয়ে ২ শতাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্ক করেছে। খবর আজকের পত্রিকার।

আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সমবেত হওয়া বিশ্ব নেতাদের প্রতি লেখা এক বিবৃতিতে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ ৭৫টি দেশের ২৩৮টি এনজিও এসব কথা জানায়।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি—আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে ক্ষুধার চক্রকে টিকিয়ে রেখেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশ্বে বর্তমানে বিস্ময়করভাবে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি। ২০১৯ সালের আগেও এই সংখ্যা ছিল বর্তমানের অর্ধেক।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘২১ শতকে আর কখনোই দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না বিশ্ব নেতাদের এমন প্রতিজ্ঞা সত্ত্বেও সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ আসন্নপ্রায়। বিশ্বের ৪৫টি দেশের অন্তত ৫ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।’ সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার ব্যাপকতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, বিশ্বে প্রতিদিন ১৯ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা যাচ্ছে। সেই হিসেবে প্রতি চার সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

এদিকে, একটি গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপচয়কৃত খাবারের পরিমাণ নিজেদের জন্য আমদানি করা খাবারের তুলনায় অনেক বেশি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিবছর অন্তত ১৫ কোটি ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য অপচয় করে থাকে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ এই অপচয়ও বিশ্বে খাদ্যের অভাব তৈরির অন্যতম কারণ।