বৈদ্যুতিক বাতি না জ্বালিয়ে কাজ চলছে সিলেট ট্রাফিক অফিসের।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য অন্যরকম উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট মহানগর ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক অফিসের পাঁচটি ফ্লোরের ২৩ কক্ষের ৩১টি জানালা থেকে পর্দা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে জানালা দিয়ে অবাধে দিনের আলো প্রবেশ করছে কক্ষে। বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর দরকার পড়ছে না। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।

রোববার (২৪ জুলাই) বিকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য নির্দেশনা দেন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণের আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তবায়নযোগ্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে সব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, নির্দেশনার পরপরই সিলেট মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সব কর্মকর্তাদের কক্ষ থেকে পর্দা অপসারণ করা হয়েছে। এর ফলে ৪২টি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন পড়ছে না। ফলে প্রাকৃতিক আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে ও সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আট ঘণ্টায় ৪২টি বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার না করায় প্রতিদিন ৮১৫ ওয়াটে প্রায় সাত ইউনিট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার ফয়সল মাহমুদ বলেন, দেশের প্রতিটা মানুষ যদি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন তবে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের অফিসের পাঁচটি ফ্লোরের ২৩ কক্ষের ৩১টি জানালা থেকে পর্দা অপসারণ করা হয়েছে। যার জন্য কক্ষের বাতি না জ্বালিয়ে কাজ করছে পুলিশ।