রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু বিদেশি কূটনীতিকের মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: বাসস

মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জনগণকে বিদেশিদের মন্তব্যে কান না দেওয়ার বা বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বৈদেশিক প্রভাব কখনো কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।

আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু বিদেশি কূটনীতিকের মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিদের কথা শুনবেন না, আপনার নেতাদের কথা শুনুন।’ খবর বাসসের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তান, চিলি ও ইরানের উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করে বলেন, বিদেশের প্রভাবে বেশ কয়েকটি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, বিদেশিরা যখন যে দেশে নিযুক্ত, সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ব্যস্ত থাকে, তখন জনগণের কল্যাণ হয় না। কারণ, বিদেশিদের তাদের নিজস্ব দেশের স্বার্থ থাকে।

মোমেন বলেন, এটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ যে, কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা আছেন, তাঁরা দেশের জন্য ভালো নয় জেনেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জড়িত থাকার জন্য বিদেশিদের কাছে তদবির করেন। মোমেন বিরোধী দলের নেতাদের কাছে বিদেশিদের অনুগ্রহ না চেয়ে, তৃণমূলে জনগণের কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো সঠিক পথ বেছে নিতে ব্যর্থ হয় না এবং নেতৃত্ব বেছে নিতে ভুল করে না। এ দেশের জনগণের প্রতি আমার অনেক আস্থা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ওয়াশিংটন গত মার্কিন নির্বাচনে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ জনের বেশি রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ঢাকাও এমন ব্যবস্থা নেবে। মোমেন বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী বিদেশি কূটনীতিকেরা জনসমক্ষে মন্তব্য না করে, কূটনৈতিক মাধ্যমে তাদের উদ্বেগ বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানাতে পারেন।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন অফিস স্পাউসেজ অ্যাসোসিয়েশন (এফওএসএ) আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার’ উদ্বোধন করেন।