বিত্তশালী ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। পরে সময়-সুযোগ বুঝে প্রলুব্ধ করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে অশ্লীল-আপত্তিকর ছবি, অডিও ও ভিডিও রেকর্ড। এরপর সংগৃহীত আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল। এমন অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। খবর জাগো নিউজের।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-মো. খোকন আকন্দ ও বিলকিস। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চক্রের খোকন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে বিত্তবানদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর বিলকিস বিভিন্ন পরিচয়ে কল বা এসএমএস দিয়ে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। পরে কৌশলে প্রলুব্ধ করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এসময় খোকন সাংবাদিক বা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের ছবি তোলেন। পরবর্তী সময়ে পরিবারের কাছে পাঠানো বা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি বা ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।

এডিসি নাজমুল হক জানান, তাদের অপরাধের শিকার এক ভুক্তভোগীর অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর দারুসসালাম থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

তিনি আরও জানান, মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে সাভার থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ধরনের অপরাধের ফাঁদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অনলাইনে পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ না করা, অল্পদিনের সম্পর্কে কারও প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে একান্তে মিলিত না হওয়া, যাচাই-বাছাই ছাড়া কারও সঙ্গে সম্পর্কে না জড়ানো ও অপরিচিত বা অল্প পরিচিত কারও কথায় কোনো অজ্ঞাত স্থানে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।