চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বায়েজিদ থানার অভিযানে চোরাইকৃত মালামালসহ গ্রেপ্তার করা হয় ৫ জনকে। ছবি: সিএমপি

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়েজিদ বোস্তামী থানার অভিযানে চোরাই প্যান্টসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে।

নগরীর দুটি এলাকা থেকে সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার গ্রিনভ্যালি আবাসিক এলাকার মো. হারুন (২৮), একই থানার আরেফিন নগর এলাকার শুক্কুর হোসেন (৩৩), ওই থানার বাংলাবাজার এলাকার মো. সেলিম (৫০), বায়েজিদ থানার শ্যামলছায়া জাফর সাহেবের বাড়ির মো. আবদুর রহিম সুমন (২৪) ও নগরীর খুলশী থানার সেগুন বাগান এলাকার মো. কাজল (৪০)।

মামলার বাদী মো. মজিবুর রহমান (৪৮) জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ২টার দিকে তাঁর (বাদী) বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন টেক্সটাইল মক্কা ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং ফ্যাক্টরি থেকে ১ হাজার ৮০০টি প্যান্ট ওয়াশিং শেষে হারুন ও শুক্কুরের মাধ্যমে পটিয়া থানাধীন শান্তিরহাট সান ফ্যাশন নামের কারখানায় পাঠান। সান ফ্যাশনে ১ হাজারটি প্যান্ট বুঝিয়ে দেন ওই দুজন।

পরে সান ফ্যাশন কারখানা কর্তৃপক্ষ বাদীকে ৮০০টি প্যান্টের জন্য ফোন করে। তখন বাদী হারুন ও শুক্কুরকে তাঁর ফ্যাক্টরিতে আসতে বলেন। তাঁরা ফ্যাক্টরিতে এলে বাদী তাঁদের ৮০০টি প্যান্ট কোথায় জিজ্ঞাসা করেন। তাঁরা জানান, সান ফ্যাশনের ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাওয়ার সময় প্যান্টগুলো কাজলসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

বাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়। ওই মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম কর্মকর্তা ও অন্য পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় মক্কা ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং ফ্যাক্টরি-সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালান। অভিযানে হারুন, শুক্কুর, সেলিম ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট-সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকলিয়া থানাধীন মিঞাখান নগর মেট ফ্যাক্টরি-সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই ৭২৫টি প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।