দর্শনা থানা-পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চুয়াডাঙ্গায় বাবর আলীকে (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে দর্শনা থানা-পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে একমাত্র জড়িত নিহত বাবর আলীর স্ত্রী মাহিমা খাতুনকে (৪০) গ্রেপ্তার করার পর তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। রোববার (১১ জুন) দুপুর ২টায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।

গ্রেপ্তার মাহিমা খাতুন দর্শনা ধান্যঘরা গ্রামের নিহত বাবর আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় গত শনিবার বাবর আলীর ভাই সাবের আলী দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ জুন) রাত পৌনে ১টার দিকে বাবর আলী তার বসতঘরের বারান্দার মেঝেতে প্লাস্টিকের মাদুরের ওপর ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবর আলীর গলার বাম পাশে কোপ দিয়ে গলা কেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের নির্দেশে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য দর্শনা থানা-পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামে। মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দর্শনা থানা-পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে বাবর আলীর স্ত্রী মহিমাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি নিজেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বসতবাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাসুয়াটি মহিমা নিজেই বের করে দেন।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। হত্যার দিন রাতে পারিবারিক কলহের কারণে বাবর আলী ও মহিমা খাতুনের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে বাবর আলীর কাছে থাকা ধারালো হাসুয়া কেড়ে নিয়ে মহিমা খাতুন বাবর আলীর গলায় কোপ মারে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে বাবর মৃত্যুবরণ করেন।