বান্দরবানে প্রতি মাসের মতো অনুষ্ঠিত হলো কমিউনিটি পুলিশ মতবিনিময় সভা। এবার মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম বিভাগের বিভাগীয় প্রধানেরা।

‘মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি’ শ্লোগান সামনে রেখে বান্দরবান নীলাচল ট্যুরিস্ট স্পটে অনুষ্ঠিত হয় কমিউনিটি পুলিশিং সভা।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে চারটায় এই কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন শতাধিক পর্যটক। সভায় তাঁরা মন খুলে তাঁদের অভাব, অভিযোগ জানান ও পরামর্শ দেন ।

ট্যুরিস্ট কমিউনিটি পুলিশিং সভায় বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশের ভূস্বর্গ খ্যাত বান্দরবানের বিভিন্ন স্পট দেখতে বিদেশি ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থী ও পর্যটকেরা সুন্দরভাবে যাতে আনন্দ-উল্লাস করতে পারে এবং কোনোরকম হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কেউ হয়রানির শিকার হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সব পর্যটককে সচেতন করতে হবে ।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, আপনাদের প্রতি বুকভরা ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান ও সহমর্মিতা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ সময় আগত বিভিন্ন পর্যটকদের এখানকার ট্যুরিজম বিকাশে তাঁদের সহযোগিতা কামনা করেন। যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কারও চোখে পড়লে পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন পুলিশ সুপার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সন্তোষ কুমার দেব তাঁর বক্তব্যে ট্যুরিজম বিকাশের নানা দিক ও প্রতিকূলতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন এবং বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ ছাড়া আর বক্তব্য দেন বাপন চন্দ্র কুরী, চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ, সোহেল মো. নাফি, চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকে।

এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ, বান্দরবান জোনের পুলিশ সুপার, ইনচার্জসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।