বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ২০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।

থানচি উপজেলার রেমাক্রি সেতুসংলগ্ন এলাকা থেকে এই ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম। এ ছাড়া সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। খবর কালের কণ্ঠের।

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য ও অন্য তিনজন পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা ‘কেএনএফ’ এর সদস্য। কেএনএফ সদস্যরা নব্য জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।

আজ বুধবার ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বান্দরবান শহরের মেঘলায় পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন জানান, এই অভিযানসহ এ পর্যন্ত ৫৫ জন নব্য হিজরতকারী জঙ্গির মধ্যে ২৩ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। নিজেদের মধ্যে বিরোধে মারা গেছে দুজন এবং পুলিশ বাহিনী আটক করেছে আরও দুজনকে। অবশিষ্ট ২৮ জনকেও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে একজন জঙ্গিও অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

খন্দকার মঈন জানান, এর আগে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক প্রধান রনবীরকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে বর্তমানে সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

খন্দকার আল মঈন জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আমরা ৫ জঙ্গিকে আটক করতে সক্ষম হই। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে থানচি উপজেলার রেমাক্রি ব্রিজের কাছাকাছি এলাকা থেকে আরও ১২ জঙ্গিকে আটক করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে ‘কেএনএফ’ এর তিন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

গ্রেপ্তার ২০ জনকে বিভিন্ন মামলায় আটক দেখিয়ে বান্দরবান আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।