পুলিশি হেফাজতে দুই আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পটুয়াখালীর বাউফল থানাধীন নুরাইনপুর এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি বাংলা দা, একটি ছোরা, একটি ছোট শাবল, দুটি ছুরি, একটি গ্রিল কাটার প্লাস, একটি প্লাস, দুটি ফোরপিন ও একটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়। এ ছাড়া এক আসামির বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত শাড়ি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশি হেফাজতে দুই আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

সোমবার (৪ জুলাই) বরিশাল নগরীর কাউনিয়া ও পটুয়াখালীর বাউফল থানা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন মো. রিয়াজ হাওলাদার, অরুণ দাস (৩৫), মো. ইসমাইল গাজী (৫৫), মো. হেমায়েত সিকদার ওরফে মিলন (৪৭), স্বর্ণ ব্যবসায়ী গৌতম কর্মকার (৪৪) ও মনোজ কর্মকার (৩৮)। আসামিদের প্রত্যেকের বাড়ি বাউফল থানা এলাকায়।

পুলিশি হেফাজতে দুই আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

বাউফল থানা-পুলিশ জানায়, গত ৩০ জুন দিবাগত রাতে বাউফল থানাধীন নুরাইনপুর এলাকায় ভুক্তভোগী মো. রুহুল আমিন সিকদারের (৫২) বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী ডাকাত দলের ৮-১০ জন সদস্য গ্রিল কেটে ঘরে ঢোকে। পরে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা, ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, শাড়িসহ মোট ১৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। গত ৩ জুন ভুক্তভোগী বাউফল থানায় একটি মামলা করেন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

ডাকাতিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পুলিশ আরও জানায়, তদন্তের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানাধীন মরকখোলা এলাকা থেকে মো. রিয়াজ হাওলাদার ও অরুণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. ইসমাইল গাজী ও মো. হেমায়েত সিকদার ওরফে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে লুণ্ঠিত স্বর্ণ কোথায় বিক্রি করা হয়েছে, সেই তথ্য দেন তাঁরা। পরে বাউফল থানাধীন গৌরব জুয়েলার্সের মালিক গৌতম কর্মকার ও মনোজ কর্মকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামি ইসমাইলের বাড়ি থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং লুণ্ঠিত শাড়ি উদ্ধার করা হয়। বাকি মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।