২০১৯ সালে দেশে মোট ২ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪টি মামলা হয়। ২০২০ সালের এপ্রিলে বর্তমান ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বাংলাদেশ দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই বিট পুলিশিং প্রবর্তন করেন। এরপরই বাংলাদেশ বড় ধরনের অপরাধের প্রবণতা লক্ষণীয়ভাবে কমে গেছে।

২০২০ সালে মামলার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৬। অর্থাৎ এক বছরে ৩৭ হাজার ৭৫৮টি মামলা (১৬.৭ শতাংশ) কমে যায়।

২০২১ সালে অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক উদ্ধারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময়ে অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং মাদক দ্রব্য উদ্ধারসংক্রান্ত মামলার সংখ্যা বেশি হওয়ায় তা সামগ্রিকভাবে মোট মামলার সংখ্যার ওপর প্রভাব ফেলে।

বাংলাদেশ পুলিশের এক পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২১ সালে দেশে মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫১০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে উদ্ধারজনিত মামলার সংখ্যা বেশি। এই সময়ে কমেছে বড় অপরাধের মামলা।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বড় ধরনের অপরাধ বিশেষ করে খুন, নারী নির্যাতন, অপহরণের মতো অপরাধ কমেছে। ২০১৯ সালে দেশে মোট ৩ হাজার ৬৫৩টি খুনের মামলা হয়। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫৩৯। অন্যদিকে, ২০২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২১৪।

অর্থাৎ, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে খুনের মামলা ৩.২২ শতাংশ এবং ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১০.১১ শতাংশ কমেছে।

নারী নির্যাতন মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০১৯ সালে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনায় ১৩ হাজার ৫১৭টি মামলা হয়। ২০২০ সালে এ সংক্রান্ত মামলা হয় ১৩ হাজার ৪৩১টি এবং ২০২১ সালে হয় ১২ হাজার ৮৫৫টি। অর্থাৎ, তুলনামূলক হিসেবে ২০২০ সালে ০.৫৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৪.৪৯ শতাংশ নারী নির্যাতন মামলা কমেছে।

অপহরণ মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০১৯ সালে দেশে ৫৯৮টি এবং ২০২০ ও ২০২১ সালে যথাক্রমে ৪৮৬ ও ৪৪৫টি মামলা হয়েছে। অর্থাৎ, ২০২০ সালে ২৩.০৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৯.২১ শতাংশ অপহরণ মামলা কমেছে।

বড় ধরনের এসব মামলা কমে যাওয়া এবং বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে পুলিশের এ তৎপরতাকে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ইতিবাচক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বড় ধরনের এসব মামলা কমে যাওয়া এবং বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে পুলিশের এ তৎপরতাকে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ইতিবাচক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।