বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান রোববার কুয়ালালামপুরে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

দীর্ঘ তিন বছর পর বাংলাদেশ থেকে আবারও কর্মী নেওয়ার জন্য সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া।

বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান রোববার কুয়ালালামপুরে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এর মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন খাতে বহু বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হল বলে আশা করছেন বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা।

তবে এই সমঝোতার আওতায় কারা কাজের সুযোগ পাবেন, মালয়েশিয়া যেতে অভিবাসন ব্যয় বা খরচ কত হবে, কীভাবে কাদের ব্যবস্থাপনায় তাদের পাঠানো হবে, কী কী শর্ত থাকবে, সেসব বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমের।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আবারও শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।

মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। পাঁচ বছর মেয়াদি এই চুক্তির আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।

কিন্তু প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে একটি চক্র ওই ১০ এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে আগে যাঁরা ভিসা পেয়েছিলেন, তাঁরা পরেও মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই আড়াই লক্ষাধিক কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে বিদেশে। এর মধ্যে গত নভেম্বর মাসে ১ লাখ ২ হাজার ৮৬৩ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। তিনি বলেন, ‌’আমাদের প্রত্যাশা, বিদেশ গমনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ অর্থবছরে সাত থেকে আট লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হবে।’