বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় ‘ব্যাপক সাফল্য’ অর্জন করেছে। আগামী দিনগুলোতে তাঁর দেশ ঢাকাকে আরও সহায়তা দেবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিসিএবি টক’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের।
নাওকি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ সরকার ও তার জনগণের একটি বড় ধরনের অর্জন এবং প্রয়াস।’
জাপান এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৩ মিলিয়ন ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রদান করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে কার্যকরভাবে টিকাগুলো ব্যবহৃত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, জাপান আগামী নভেম্বর মাসে কোভ্যাক্স কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশকে আরও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাঠাবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য জাপান মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, তবে মিয়ানমারে পরিস্থিতিতে কোন দিকে যাচ্ছে, তা অনুমান করা কঠিন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ বাড়াতে হবে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করায় বাংলাদেশে জাপানের ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) প্রবাহ আরও বাড়বে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাপান সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। টোকিও আগামী নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে কয়েকটি টহল নৌযান প্রদান করবে।
তিনি বলেন, টোকিও ঢাকার সঙ্গে আরও বাস্তবসম্মত সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রয়াস জোরদার করবে।
নাওকি আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশে বড় ধরনের অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে, যা পাঁচ বছরের মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটাবে।
ডিসিএবি সভাপতি পান্থ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।