মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানত হিন্দু এবং বিশ্ব সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চাই যে, তার সরকার ধর্মনিরপেক্ষতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা হলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

ভারত সফরের আগে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ এজেন্সি এএনআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, উগ্রবাদ শুধুমাত্র তাঁর দেশে সীমাবদ্ধ ছিল না, কারণ ভারতসহ অনেক দেশ এটি প্রত্যক্ষ করছে। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদের একটি কারণ হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা ‘আজকাল খুবই বাজে’ হয়ে উঠেছে। খবর বাসসের।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতদিন আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা সব সময় এটাকে গুরুত্ব দেই এবং আমি সবসময় তাদের (সংখ্যালঘুদের) বলি যে, আপনারা আমাদের নাগরিক। দেশের প্রতি আপনাদেরও দায়বদ্ধতা আছে। তবে মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা ঘটলেও সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিই। এটা কখনও কখনও হয়, এটি ঘটেছে, এটি খুব অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি কিন্তু আপনি জানেন যে এটি কেবল বাংলাদেশ নয়, এমনকি ভারতেও কখনও কখনও সংখ্যালঘুরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশগুলোকে উদারতা দেখানো জরুরি। তিনি বলেন, আমি মনে করি যে উভয় দেশেরই উদারতা দেখানো উচিত, আপনি জানেন বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং আমাদের এখানে অনেক ধর্ম রয়েছে। আর এখানে ধর্মের সম্প্রীতি খুব বেশি। তাই একটি বা দুটি ঘটনা যখন ঘটে তখনই… বিশেষ করে আমার দল… আমার দলের লোকেরা, তারা অনেক বেশি সচেতন এবং আমার সরকারও। আমরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নিই।’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে যাচ্ছেন। তাঁর চার দিনের ভারত সফরকে উভয় দেশেই দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির মধ্যে সময়ের পরীক্ষিত সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।