পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভাপতি জীশান মির্জা পক্ষে বাংলাদেশে বসবাসরত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ম্যালকম আরনল্ডকে সহায়তা দিতে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি চিত্রকর্ম কিনে নেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশকে ভালোবেসে, বাংলাদেশের এক নারীর প্রেমে পড়ে প্রায় ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশেই পড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ম্যালকম আরনল্ড (৭৪)। একসময় ছবি এঁকে বেশ আয় হলেও রোগ আর বয়সের ভারে এখন নুয়ে পড়েছেন ম্যালকম। অর্থনৈতিক দৈন্যদশা এমন পর্যায়ে গেছে যে ওষুধটাও কিনে খাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। সেই ম্যালকমের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)-এর সহধর্মিণী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভাপতি জীশান মির্জা।

ম্যালকম আরনল্ডকে নিয়ে গত ২০ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনটি পুনাক সভানেত্রীর দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর পুনাক সভানেত্রী তাঁকে আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেন। এ লক্ষ্যে ১১ ডিসেম্বর (শনিবার) বেলা ১১টায় জীশান মির্জার পক্ষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান অসুস্থ ম্যালকম আরনল্ডের বাড়িতে যান। তিনি আরনল্ডকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী এক মাসের সব ওষুধ দেন এবং আরনল্ডের একটি চিত্রকর্ম কেনেন।

পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভাপতি জীশান মির্জা। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে ম্যালকম আরনল্ডের বসবাস খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সোনাডাঙ্গা মাদ্রাসা রোড এলাকায়। তাঁর স্ত্রী হালিমা বেগমের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায়। হালিমাকে ভালোবেসে ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে আছেন তিনি। ভালোবেসেছেন এ দেশের ফুল, পাখি, হাওয়া আর মাটিকে।

ম্যালকম আরনল্ডের বাড়িতে কেএমপি কমিশনারের পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ এহসান শাহ্, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (সোনাডাঙ্গা জোন) আতিক আহমেদ চৌধুরী এবং অফিসার ইনচার্জ (সোনাডাঙ্গা মডেল থানা) মো. মম্তাজুল হক।